সিঙ্গুর:  সিঙ্গুরের মানুষ শিল্প চাইলে শিল্প হবে, কোনও অসুবিধা নেই। সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিদ্যুৎমন্ত্রীর নির্দেশ, প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা পাওয়ার স্টেশন সরানোর কাজে যেন তাড়াহুড়ো করা না হয়।

সিঙ্গুরের ভবিষ্যতে কী? শিল্প না কৃষি? না কি ৬০০ একরে শিল্প আর ৪০০ একরে কৃষি? এই সব প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এই প্রকল্প এলাকার চারপাশে। এরই মাঝে, বৃহস্পতিবার, বিদ্যুৎ‍মন্ত্রীর মন্তব্যে, সিঙ্গুরে শিল্প-সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা নয়া মাত্রা পেয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট জমি ফেরতের নির্দেশ দেওয়ার পর সিঙ্গুরের অনেক অনিচ্ছুক কৃষকও এখন শিল্প চাইছেন।

এই প্রেক্ষাপটে, প্রকল্প এলাকার ভিতরে থাকা একটি পাওয়ার স্টেশন এবং পাওয়ার ট্রান্সমিশন সেন্টার অন্যত্র সরানোর কাজ ধীর গতিতে করার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ‍মন্ত্রী।
রাজ্য বিদ্যুৎ‍ বন্টন নিগমের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এখানে বিদ্যুৎ‍ বণ্টন নিগমের নিজস্ব জমি রয়েছে। সেই জমি চিহ্নিতও করা হয়েছে। সেখানে পাওয়ার স্টেশন এবং পাওয়ার ট্রান্সমিশন সেন্টারটি নিয়ে যাওয়া যায় কি না সে বিষয়ে ভাবছে সরকার।

সাফাই অভিযান এবং জমি জরিপের কাজ খতিয়ে দেখতে এ দিন সিঙ্গুরে যান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর জমি ফেরত পাচ্ছে। সেই জমিতে শেষমেশ কী হয় সেই দিকেই এখন তাকিয়ে সিঙ্গুরবাসী।