কলকাতা:  ছিনতাইয়ের অভিযোগে এবার পুলিশই পাকড়াও। জালে উত্তর ২৪ পরগণা পুলিশের এএসআই। তাঁকে জেরা করে, খোঁজ মিলল আরও চার জনের। ধৃতদের চার দিন পুলিশ হেফাজত। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে, জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর,
দমদমের আর এন গুহ রোডের বাসিন্দা নবীন দাস সম্প্রতি বেলঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারীর দাবি,
চোরাই সোনা কেনার জন্য একটি চক্রের সঙ্গে তাঁর ও এক বন্ধুর যোগাযোগ হয়। ঠিক হয়, ৩১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রচুর সোনা দেওয়া হবে।

ঠিক হয়, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিআর ব্রিজের কাছে টাকা ও সোনার লেনদেন হবে
অভিযোগকারীর দাবি, বন্ধুকে নিয়ে গত তিরিশে অগাস্ট সেখানে টাকা নিয়ে যান তিনি।
প্রথমে একটি গাড়ি থেকে দু’জন নেমে এসে কথা বলতে শুরু করেন। আচমকাই বিমানবন্দরের দিক থেকে আরেকটি পুলিশ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি আসে। ওই গাড়ির আরোহীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়!
এই অভিযোগের তদন্তে বিশেষ দল গঠন করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তে নেমে চমকে ওঠেন তদন্তকারীরা! জানা যায়, পুলিশ স্টিকার লাগানো ছিনতাইকারী গাড়িতে ছিলেন এএসআই অনিমেষ দে।
এদিন নদিয়ার শিমুরালি থেকে ৪ সহযোগী-সহ ধরা পড়েন ওই এএসআই। গত ৫ তারিখ থেকে ছুটিতে ছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর,
এই এএসআই বর্তমানে হাড়োয়ার সিআইয়ের সহকারী (রিডার) হিসেবে কর্মরত। এর আগে বারাসতের এসডিপিও-র সহকারী (রিডার) ছিলেন।
এক সময় বারাসত থানায় পিসি পার্টির পুলিশকর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
তদন্তকারীদের অনুমান, সেই সুবাদেই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।
এএসআই অনিমেশ দে-ই এই ছিনতাই চক্রের মূল পাণ্ডা!
যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, ৩১ লক্ষ নয়, ছিনতাই হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা।
আরও ৩ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।