পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: হাতির হানা অব্যাহত বাঁকুড়ার গ্রামে। এবার দলছুট এক দাঁতালের আক্রমণের শিকার বেলিয়াতোড়ের ধনী পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাতের অন্ধকারে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা ভেঙ্গে মজুত রাখা চাল, ডালসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী খেয়ে ও নষ্ট করে ওই হাতিটি। শুক্রবার ভোরের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা কর্মী জয়িতা হালদার কর বলেন, 'এই নিয়ে দু'বার হাতি আক্রমণ চালাল। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বারবার একই ঘটনা ঘটছে। প্রথমবারের কোন ক্ষতিপূরণ মেলেনি । ' এবারও কী হবে তার জানা নেই বলে তিনি জানান। ঘটনা প্রসঙ্গে বেলিয়াতোড়ের রেঞ্জ অফিসার মহিবুল ইসলাম বলেন, 'বর্তমানে হাতি তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হানা দিচ্ছে। তবে বনদফতর সব সময়ে সতর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এ দিন জলপাইগুড়িতেও হাতির তাণ্ডব চলে। সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রংধামালি নতুন বস্তি এলাকায় সকাল থেকেই চারটি হাতি আতঙ্ক ছড়ায়। ভেঙে ফেলে গাছ, বাড়ি-ঘর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে এই হাতিগুলি গ্রামে ঢুকে পড়েছে।
মূলত খাবার সন্ধানেই হাতি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে এসেছে। খবর মিলেছে, ইতিমধ্যেই হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রাম। ভাঙচুর করে গ্রামের একাধিক বাড়ি। হাতির হানায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষির ফসল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনদফতরের আধিকারিকরা। হাতিগুলিকে গ্রাম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
দিনকয়েক আগেই মেদিনীপুরে হাতির তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। মাঝরাতে খাবারের খোঁজে হাতির হানা লোকালয়ে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়িগুড়িপালে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ৬টি বাড়ি ভেঙে ফেলে হাতির দল। পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ধানের বীজতলা। সকালে বনকর্মীরা শালবনির জঙ্গলে তাড়িয়ে দেন হাতিগুলিকে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।
খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে রাতভর দস্যুগিরি চালায় হাতির পাল। ভোরের আলো ফুটতে ধানের বীজতলা মাড়িয়ে নষ্ট করে গ্রাম দাপিয়ে সকলের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়ে জঙ্গলে ফিরল গজরাজ। হাতির পাল তাণ্ডব চালায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল এলাকার। রবিবার গভীর রাতে এনায়েতপুরে ঢুকে পড়ে ৬টি হাতি। মাঠে ফসল না-থাকায় তারা সোজা হানা দেয় গৃহস্থের বাড়িতে। ভাঙে বাড়ির দেওয়াল, ধানের গোলা। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে এরপর পলাশিয়াতে হানা দেয় হাতির পাল।