রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন নিয়ে অব্যাহত অসন্তোষ। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা এবার মুর্শিদাবাদে। শুক্রবার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হরিহরপাড়া  ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ভ্যাকসিন নিতে আসা স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে, ভোর থেকে লাইন দিয়েও কুপন পাচ্ছেন না। মিলছে না ভ্যাকসিন। এদিন ভোর থেকে অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন লোক ঢুকতে যাওয়ায় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।


এদিন ভ্যাকসিন গ্রাহক বলেন, ভোর থেকে লাইন দিয়েছি। আমাদের ঠেলে পেছনের লোক টোকেন নিয়ে নিল। আরেক ভ্যাকসিন গ্রাহকের অভিযোগ, জবরদস্তি লোক এসে পেছন থেকে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা দাঁড়িয়েই আছি। হরিহরপাড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুল লস্কর জানিয়েছেন, অনেক লোক হয়ে যাওয়াতে বিপত্তি। আমরা প্রত্যেক অঞ্চলে ক্যাম্প করছি যাতে অশান্তি না হয়।


ভ্যাকসিন ভোগান্তি জেলায় জেলায়। কোথাও বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ, কোথাও ভ্যাকসিনের টোকেনের জন্য লাইন নিয়ে অশান্তি। একই ছবি হুগলির চণ্ডীতলায়। শুক্রবার সকাল থেকে হুগলির চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে লাইন দেন কয়েকশো মানুষ। বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন মেলেনি বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে, দুর্গাপুর-চণ্ডীতলা অহল্যাবাই রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।


হাসপাতাল ও প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা প্রথম ডোজ দেওয়ার দাবি জানালে, অশান্তি ছড়ায়। শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক জানান, সুপার স্প্রেডারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ বাকি আছে, তাঁদেরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের টোকেন দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা ছাড়াও  অনেকে চলে আসায় সমস্যা হয়।  এ নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।


চণ্ডীতলা-২ পঞ্চায়েত সমিতি জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ অনাথ ঘোষ, বিজেপির উস্কানিতেই বিক্ষোভ। ওরাই গ্রামবাসীদের উস্কানি দিয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি রঘুনাথ অধিকারী, তৃণমূল করলে ভ্যাকসিন মিলছে। গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিজেপির সম্পর্ক নেই।  যাঁরা টোকেন পেয়েছিলেন, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।