রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: রাস্তা দখল করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনেই মহিলাদের মারধর, শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
পুলিশের সামনেই মহিলাদের ধাক্কা, পাশাপাশি শ্লীলতাহানির অভিযোগ। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে অবাধে চলল ভাঙচুরও। সরকারি রাস্তা দখল করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার একাইহাটে।
রাস্তা দখল করে অবৈধ নির্মাণ করেছে এলাকার একটি পরিবার। এই অভিযোগ পেয়ে এ দিন মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জিত মণ্ডল ও পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা। পরিবারের অভিযোগ, মাপজোকের পরই ভাঙচুর শুরু করে তৃণমূলের লোকজন।
মারধরের পাশাপাশি পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। পরিবারের এক সদস্য বলছেন, 'তৃণমূল দখল করে পার্টি অফিস করতে চাইছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাধা দেওয়ায় আজকের ঘটনা ঘটেছে সবাই দাঁড়িয়ে দেখেছে।'
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কাটোয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জিত মণ্ডলের কথায়, 'এটা সরকারি জায়গা। কর্মতীর্থ তৈরি করা হবে। পার্টি অফিস করার জন্য দখল করার চেষ্টার যে অভিযোগ উঠেছে তা একেবারেই ঠিক নয়। কাটোয়া ১নং ব্লকের ভূমি রাজস্ব আধিকারিক নীতীশ সাহা জানিয়েছেন, 'বিডিওর নির্দেশে মাপ করা হয়। ভাঙার কোনও অনুমতি ছিল না, কারা ভেঙেছে তা জানি না। ' অন্যদিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, ' কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। '