উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনায় ফের জ্বরে মৃত্যু। একদিকে কামারহাটি, অন্যদিকে, বারাসাত।  কামারহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নওদাপাড়ার বাসিন্দা শেফালি রায় শনিবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বছর ৪৩-এর ওই মহিলার।

মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে এনএসওয়ান রিঅ্যাকটিভ। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বারাসতের বাদুতেও। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ২৫-এর গোলাম হোসেন।  সোমবার তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। করিডরেও চিকিত্সা চলছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের।

এলাকায় ছড়াচ্ছে জ্বর। অথচ ওয়ার্ডেই সামনেই জঞ্জালের স্তূপ দেখা যাচ্ছে। একই ছবি পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের।

এক সপ্তাহে অন্তত ১০০ জন ভর্তি হয়েছেন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। শয্যার অভাবে অনেকেরই চিকিত্সা চলছে মেঝেতে।

হাসপাতালে চারপাশে আবর্জনার স্তূপ।  চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ভর্তি থাকা রোগীদের ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত।

এই পরিস্থিতে দিকে দিকে চলছে ডেঙ্গি-সচেতনায় প্রচার।

মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি পুরসভার ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমায়, মশার লার্ভা নিধনে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়।  জল কম আর আবর্জনা বেশি থাকা নর্দমায় ওই সব মাছ মরে গেলে নতুন বিপত্তি দেখা দিতে পারে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকাতেও এদিন করা হয় ডেঙ্গি-সচেতনতার প্রচার।