সন্দীপ সরকার,কলকাতা: পিপিপি মডেলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রক্রিয়া গতি পেল রাজ্যে। আগ্রহী ৪ বেসরকারি সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বলল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরে আবেদনের সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট জমা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাবদ জমা রাখতে হবে ২ কোটি টাকা। ৩৩ বছরের লিজ চুক্তিতে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলা যাবে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ করতে অনুমতি ইতিমধ্যেই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। 


সরকারি হাসপাতাল লিজ নিয়ে পিপিপি মডেলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। ৪টি বেসরকারি সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য মউ-ও সই হয়েছে। 


রাজ্য সরকারের পূর্ব ঘোষণা মতো, এবার পিপিপি মডেলে ৩০০ বেডের সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রক্রিয়া গতি পেল। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ৪টি বেসরকরি সংস্থা পিপিপি মডেলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই ৪টি সংস্থাকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় নথি সহ ২ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গারান্টি ও ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফট জমা দিতে।  


এ ছাড়াও সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহারের জন্য বছরে নির্দিষ্ট টাকা দিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৩৩ বছরের জন্য সরকারি হাসপাতাল লিজ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।  রাজ্য সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি হয়েছে জেএমএন এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের। 


কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি ও চিকিত্‍সক সংগঠনগুলির একাংশ। বাঁকুড়া  বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, এমনিতেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির অবস্থা খারাপ। এবার মানুষকে রকারি হাসপাতালে টাকা দিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। 


এ সমস্ত অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।  শান্তনু সেনের কথায়, সমালোচনার কোনও জায়গা নেই।  মানুষজন যেমন বিনা মূল্যে চিকিত্‍সা পান, সেভাবেই চিকিত্‍সা পাবেন। বরং আরও বেশি সংখ্যক চিকিত্‍সক তৈরির লক্ষেই  এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।  মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি। না জেনে ওরা কথা বলছেন।


কীভাবে কাজ হবে পিপিপি মডেলে? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সরকার পরিকাঠামো দেবে। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির খরচের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার। মেডিক্যাল কলেজে মোট আসনের ৩৩ শতাংশ থাকবে রাজ্যের কোটায়। পঠনপাঠনের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার।