সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আজ রাতেই ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রভাব বাংলায় তেমন না পড়লেও, মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আজ মধ্যরাতে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের মাঝে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় গুলাব।' সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ২৮ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি হবে, ২৯ তারিখ পশ্চিমের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে
পুজোর মুখে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা। তবে এ যাত্রায় ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ বাংলায় সরাসরি ছোবল না মারলেও, নিম্নচাপের ধাক্কায় ভারী বৃষ্টির জেরে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাতে ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনমের কাছে, আছড়ে পড়তে পারে গুলাব।
ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার। রবিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে, ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৯৫ কিলোমিটার এবং অন্ধপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনম থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
আর এর প্রভাবে শনিবার থেকেই একটু একটু করে খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া। রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
ঠিক ৪ মাস আগে, ওড়িশার ধামড়ার কাছে ১৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে কাঁপিয়ে গত বছরের ২০ মে, ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটারের গতিতে তাণ্ডব চালায় আমফান। এবার চোখ রাঙাচ্ছে ‘গুলাব’। বাংলায় যার অর্থ গোলাপ। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান।
ঘূর্ণাঝড়ের প্রভাবে, মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। দুর্যোগ আসার আগেই সতর্ক কলকাতা পুরসভা। জল জমলে তা দ্রুত নামাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: Cyclone Gulab: ঘূর্ণিঝড় গুলাব আছড়ে পড়তেই প্রাণহানি অন্ধ্রে, খোঁজ মিলছে না একাধিকের
আরও পড়ুন: Malda: কলেজ পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যু, আত্মঘাতী বলে দাবি পরিবারের