রাজা চট্টোপাধ্যায় ও বাচ্চু দাস, জলপাইগুড়ি: বিজেপি সাংসদ ও দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ভাণ্ডারিগঞ্জে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাতে গিয়ে সাংসদ শাসকদলের রোষের শিকার হন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির নব্য বনাম পুরনোর লড়াই।


ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে গিয়ে বিপত্তি।তৃণমূলের হাতে দলীয় সাংসদ আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির।বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতা দখলের পর থেকে আতঙ্কে ঘর ছাড়েন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভাণ্ডারিগঞ্জের ১৩ জন বিজেপি কর্মী।শুক্রবার সেই সব কর্মীদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময়  হামলা চালায় তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়।


জয়ন্ত রায় বলেছেন, নির্বাচনের পর ১৩-১৪ জন ঘরছাড়া।  সাউডাঙিতে ছিল। পুলিশের এসকর্ট করে ভাণ্ডারিগঞ্জে বাড়ি পৌঁছনোর কথা ছিল... পুলিশ মাঝপথে চলে যায়... তারপর হামলা হয়।


বিজেপি সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন  সাংসদ জয়ন্তকুমার রায় ও ২ দলীয় কর্মী।জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেছেন,মে মাসের ২ তারিখের পর থেকে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। আজকে সাংসদ যখন যাচ্ছিলেন, তখন তৃণূমল দুষ্কৃতী হামলা করে। সাংসদও আক্রান্ত হন।


এই প্রসঙ্গে, তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ জানান,bতৃণমূল সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। বিজেপি জেলাতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। সাংসদ  আমাদের জানাতে পারতেন। সেটা না করে তিনি এলাকায় গিয়ে  বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন।প্রশাসনের ওপর ওঁদের আস্থা নেই। সাংসদের গায়ে কেউ হাত দেয়নি, এটা বিজেপির পুরনো ও নব্যের লড়াই। এই ঘটনায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।


উল্লেখ্য, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শপথগ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনৈতিক হিংসা রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন।