রাজা চট্টোপাধ্যায়, ডুয়ার্স: কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় তৎপর প্রশাসন। ডুয়ার্সের বিভিন্ন হোটেল ও রিসর্টে পর্যটক আসার ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শর্ত না মানলে কোনও হোটেল অথবা রিসোর্টে মিলবে না জায়গা।
নির্দেশিকায় উল্লেখ, ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট এবং ৪৮ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে তবেই মিলবে হোটেল অথবা রিসর্টে থাকার অনুমতি।
এই পরিস্থিতিতে পর্যটকরা হোটেল বুকিং বাতিল করায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জেলাশাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিচার করে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এক্সিট পয়েন্টে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের ভয় এখনও কাটেনি। চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন, করোনা বিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। তা সত্বেও কার্যত লকডাউন উঠতে না উঠতেই ভিড় জমতে শুরু করেছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে।
শৈলশহর দার্জিলিঙেও পর্যটকদের জন্য জারি হল একগুচ্ছ বাধানিষেধ। ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ না নিলে বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ না নিলে, দার্জিলিঙে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। অবশ্যই দেখাতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি সার্টিফিকেট।
অথবা, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ দেখাতে হবে। দুটির মধ্যে একটি না থাকলে, হোটেল বা হোম স্টে-তে থাকা যাবে না।
পাহাড়ের মতো কঠোর বিধি জারি করেছে সমুদ্রেও। পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসনের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডাবল ডোজ ভ্যাকসিনেশনের শংসাপত্র অথবা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে, দিঘায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।
দিঘার দোরগোড়ায় সর্বক্ষণ প্রহরায় রয়েছে পুলিশ। এন্ট্রি পয়েন্টেই প্রয়োজনীয় নথি পরীক্ষা করা হচ্ছে। না থাকলে পত্রপাঠ বিদায় করে দেওয়া হচ্ছে।
এরমধ্যই দিঘার একাধিক হোটেলের বিরুদ্ধেও করোনা বিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকা সত্বেও অনেক পর্যটককে ঘর দেওয়া হয়েছে। এমনকি, রিপোর্ট না থাকলে, অন্য পর্যটকের আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্টের কপি জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরেক জনের নামের পাশে।
দিঘার একাধিক হোটেলে গিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করে পুলিশ। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ২ হোটেল কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে সতর্কতামূলক অভিযান চালায় পুলিশ ও প্রশাসন।