রাজা চট্টোপাধ্যায়, রাজগঞ্জ: প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের পানিকৌরি গ্রামে। আজ দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ডোবার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। নাক দিয়ে রক্তপাত হতে দেখেন এলাকার মানুষ।


ডোবার মধ্যেই পড়ে ছিল মোটরবাইক। পুলিশ জানিয়েছে, এক সময়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করলেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ ছিল না অমিত অধিকারী নামে ওই যুবকের। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।


মৃত যুবকের জামাইবাবু সম্ভু আধিকারী বলেন, গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ আমার শ্যালক ফাটাপুকুরে খেতে গিয়েছিল হোটেলে। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করি। তারপর রাস্তার পাশেই বাইকটা পরে থাকতে দেখি। শ্যালকও পরেছিল জলে। ওকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। 


তিনি যোগ করেন, শ্যালক একজন সিভিক পুলিশ ছিল। তাই, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। বললেন, ওর নাকে ও মুখে রক্ত পেয়েছিলাম। বাড়ি থেকে সুস্থ্য অবস্থায় গেল তারপর রাস্তার পাশে বাইক পাওয়া গেল আর ও জলে পরেছিল মৃত অবস্থায়।


মৃতের ভাই রাজু রায় বলেন, ১১ থেকে ১১.৩০ এর মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল হোটেলে ভাত খেতে। বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে জায়। আমরা অনেক খুঁজেছিলাম। দুটো নাগাদ দেখি, ওর বাইক পুকুরের ধারে পরেছিল। দেহ একদিকে পরে ছিল। তিনি যোগ করেন, তাঁর ভাই বর্তমানে মুহুরির কাজ করতেন, সিভিকের কাজও করতেন।


অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির কলেজ পাড়ায় যুবকের মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য। মৃতের নাম বিকাশ রায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,  শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি কালভার্টের উপর ব্যাগ, জুতো ও চিড়ের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। 


খোঁজাখুঁজি করতেই নালার মধ্যে এই যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরিবার সূত্রে খবর,  বিকাশ কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত বছর লকডাউনের সময় তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। 


তারপর থেকে কখনও দিনমজুর আবার কখনও হিমঘরে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু আর্থিক অনটন থাকায় ফের কেরলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিকাশ।  ধূপগুড়ি থেকে শুক্রবার ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁর। 


পরিবারের দাবি, সেইমতো বাড়ি থেকেও বেরিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।