রাজা চট্টোপাধ্যায়, রাজগঞ্জ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার পর এবার, রাজগঞ্জে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি ঘিরে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের জমিতে অফিস বানিয়েছে শাসক দল। যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ওই জমি সরকারি নয়।
জলপাইগুড়ির বানারহাটে সরকারি জমি দখল করে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে। সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই এবার বিতর্কে জড়াল শাসকদল।
রবিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বাজারে এই পার্টি অফিসের উদ্বোধন করেন তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। বিরোধীদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের জমি দখল করে অফিস বানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি।
রাজগঞ্জের বিজেপি নেতা দেবাশিস দে বলেন, এই সরকার সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে,তারাই বিজেপির দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছে,জেলা পরিষদ ভবনের উপর পার্টি অফিস নিয়ে তদন্ত করা হোক।
রাজগঞ্জ কংগ্রেস ব্লক সভাপতি দেবব্রত নাগ বলেন, সবাই জানে ওটা জেলাপরিষদের জমি। বাম আমলে ওখানে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হওয়ার কথা ছিল। ওটা জেলাপরিষদের ঘর ছিল পরে সাইকেলের দোকান ভাড়া ছিল। এখন দেখলাম শাসকদলের কার্যালয় হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, সরকারি জমিতে অফিস তৈরি হয়নি। খগেশ্বর রায় বলেন, যতদূর জানি এটা পূর্ত দফতর বা জেলা পরিষদের জায়গা নয়, যদি জেলা পরিষদ মনে করে এটা তাদের জায়গা, তাহলে আমরা অফিস ভেঙে দেব।
জমি বিতর্কে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। তৃণমূল নেত্রী ও সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ বলেন, জমিটা কাদের, তা আধিকারিকরা দেখবেন। এটা নিয়ে আলোচনা করব। ওখানে অনেক জমি আছে, কিছু জমি চিহ্নিত করা আছে, সেটা দেখা হবে।
রাজগঞ্জ কলেজের কাছে ১ বিঘা জমির একটি অংশে তৈরি হয়েছে তৃণমূলের জনসংযোগ কার্যালয়। যা রাজগঞ্জে শাসক দলের সবথেকে বড় অফিস। আর এই পার্টি অফিসের জমির মালিকানা ঘিরে এখন জোর বিতর্ক রাজগঞ্জে।