রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা : নিউটাউনে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার দুই। গতকাল রাতে তাদের গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সানু মণ্ডল ও জয় দাস। ধৃত দু'জনেরই বাড়ি নিউটাউনের চণ্ডীবেড়িয়ার সবুজপল্লি এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, সানু ও জয়ের বিরুদ্ধে নিউটাউন থানায় অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পিস্তল দেখিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মারধর করা থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া সহ একাধিক তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। নিউটাউন থানা সহ একাধিক থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। খবর পেয়ে গতকাল রাতে নিউটাউন চণ্ডীবেড়িয়া এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারাসত আদালতে তোলা হবে।


অন্যদিকে, নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার সন্ধে নাগাদ বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন বিকেল নাগাদ সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর দরজা ভেঙে দেখা যায় বসার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। খুন নাকি আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।


সূত্রে খবর, ওই যুবকের সঙ্গে আরও ২ যুবক থাকত, ওই ২ যুবকের খোঁজ চলছে। জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরেই নিউটাউন থানা এলাকায় চণ্ডীবেড়িয়ার এই বিল্ডিং-এর দোতলায় ১০৭ নম্বর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। একুশ বছরের খুফাইজা সিদ্দিকি বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ২১-এর ওই যুবকের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে আরও দু-জন থাকতেন। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আনুমানিক দু-তিন দিন ধরেই এই ফ্ল্যাটের মধ্যে পড়েছিল যুবকের মৃতদেহ। তাহলে এই সময়ে কোথায় ছিলেন বাকি রুম মেটরা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।