বীরভূম: ফের সেই আদালত। উদ্যোগী সেই বিচারক। স্বামী-স্ত্রীর ভেঙে যেতে বসা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা বিচারক পার্থসারথি সেন-এর। এবার নির্দেশ, জামাই-আদরের।
বৃহস্পতিবার একটি বধূ নির্যাতনের মামলার শুনানিতে সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ির উদ্দেশে বলেন, আগামী তিন দিন জামাই শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন। এই তিনদিন জামাইকে রাখতে হবে জামাই আদরে। সেখানে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে যাতে সুখে সংসার করা যায় তার চেষ্টা করবেন।
আগামী সোমবার দুই পক্ষকে আদালতে হাজির হতে হবে।
গত বছর ডিসেম্বরে বোলপুরের কাছারিপট্টির ঐশ্বর্যা মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে হয় মল্লারপুরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তরুণীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মোটা টাকার দাবিতে শুরু হয় বধূ নির্যাতন। গত ৩১ আগস্ট মল্লারপুর থানায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন ঐশ্বর্যা। সেই মামলায় কৌশিক ও তাঁর পরিবার আগাম জামিনের আবেদন করেন সিউড়ি জেলা আদালতে।
সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন।
এর আগে চলতি বছরেরই জানুয়ারি মাসে সিউড়ির ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা গৌতম এবং অহনা দাসের বিবাহ বিচ্ছেদ রুখতে উদ্যোগী হন এই বিচারক। সম্পর্ক জোড়া লাগাতে নিজের খরচে দম্পতিকে তিন দিন হোটেলে রাখার ব্যাবস্থা করেন তিনি। যদিও শেষমেশ সেই সম্পর্ক জোড়া লাগেনি।
সে ঘটনার পর আবার ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা আদালতের।