কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৩ জন। আদালতে জানালেন আইনজীবী। আর এরপরই দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত হল। আগেই খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিট। সেই আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। পুলিশের অভিযোগ, জেনে বুঝে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।


শুধু দেবাঞ্জন দেব একাই নন, তাঁর ৩ সঙ্গীর বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার মামলা। কোভিশিল্ডের নামে অ্যামিকাসিন দেওয়া হচ্ছিল, পুলিশ সূত্রে দাবি, সুস্থ মানুষকে এই অ্যান্টি বায়োটিক দিলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই খুনের চেষ্টার মামলা রুজু। সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, যেটা জানা যাচ্ছে সঠিক ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাই ৩০৭ ধারায়, খুনের চেষ্টার মামলাও রুজু হয়েছে। এদিকে দেবাঞ্জনের ৩ সঙ্গীর ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


করোনার কবল থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছেন জেনে গ্রাস করছে তীব্র আতঙ্ক। কারও চোখ-কান ভার হয়ে আসছে। তো কারও গায়ে অসম্ভব ব্যথা! অনেকের শরীরে যে জায়গায় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে, সেখানে দাগ হয়ে গিয়েছে। দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর থেকেই একাধিক জনের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। কসবার এক বাসিন্দা বলেন, "কাল থেকে জ্বর। গা ব্যথা করছে। ভয় লাগছে। বুঝতে পারছি না কী হলো।" আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা সান্ত্বনা দত্ত জানিয়েছেন, "গা-হাত পা ব্যথা রয়েছে, ডাক্তার ওষুধ দিয়েছে। কিন্তু চিন্তা হচ্ছে।" 


এদিকে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আরও একটি প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন দেবাঞ্জন। সেই টাকা আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কসবা শাখায় কলকাতা পুরসভার নামে তৈরি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে বলে দাবি পুলিশের।