খড়গপুর:  শ্রীনু নায়ডু খুনে অধরা আততায়ীরা। পিছনে ঘনিষ্ঠদের কেউ, ধারণা পুলিশের। ব্যবসায়িক শত্রুতা ছাড়াও হত্যার নেপথ্যে প্রতিহিংসাও থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
কিন্তু কেন নিজের খাসতালুকেই এভাবে খুন হতে হল শ্রীনু নায়ডুকে? শ্রীনুর স্ত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর পূজা নায়ডু বলেন, ওর সঙ্গে হয়তো শত্রুতা ছিল, কে করেছে জানি না।
খড়গপুরের তৃণমূল অফিসে শ্যুটআউটের ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে শ্রীনুর ঝামেলা হয়। তার জেরে ওই সঙ্গী শ্রীনুকে ছেড়ে গিয়ে আলাদা দল তৈরি করে। বন্ধুত্ব পরিণত হয় চরম শত্রুতায়! ঘটনায় শ্রীনুর ওই প্রাক্তন সহযোগীর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত পুর নির্বাচনে খড়গপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির টিকিটে জেতেন অধুনা তৃণমূলে যোগ দেওয়া শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। একটি হামলার অভিযোগে সেই সময় জেলে ছিল শ্রীনু। খুনের সঙ্গে ওই হামলার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, পুলিশের একাংশ এটাও মনে করছে, শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে এই দুটি ঘটনা অনুঘটকের মতো কাজ করে থাকতে পারে! যেখানে খড়গপুরের অন্য কোনও বড় মাফিয়ার হাত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ! বিজেপির অবশ্য দাবি, মাফিয়াদের গ্যাং ওয়ারে খুন হয়েছে শ্রীনু।
কিন্তু তৃণমূল অফিসে ঢুকে, কারা মারল, খড়গপুরের ‘বেতাজ বাদশা’ বলে পরিচিত শ্রীনুকে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক’দিন আগেই জনপ্রিয় দক্ষিণী তারকা চিরঞ্জিবীর একটি সিনেমা রিলিজ করেছে। শ্রীনুর অনুগামীদের সিংহভাগই, দক্ষিণ ভারতীয়। ফলে, বুধহবার চিরঞ্জিবীর সিনেমা দেখায় ব্যস্ত ছিল তারা। শনিবারের ‘পোঙ্গল’ উপলক্ষ্যে এলাকায় ছিল উৎসবের মেজাজ! শ্রীনু ও তার শাগরেদরা ছিল খোশমেজাজে! ছিল না অন্যদিনের মতো টেনশনের আবহ! এই সুযোগকেই কি কাজে লাগিয়েছে আততায়ীরা? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। শ্রীনু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এখনও থমথমে খড়গপুর! এলাকায় যেন অঘোষিত বনধ চলছে!