সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: কড়েয়ায় পুরনো বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে সাড়া দিয়েও জীবিত অবস্থায় হাসপাতাল পৌঁছতে পারলেন না তিনি।


রবিবারের নিঝুম দুপুর। ঘড়ির কাঁটায় দুটো। হঠাৎ বিকট শব্দ। দেখা গেল একতলা বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে ঘরের ভিতর। আত্মীয়দের ডাকাডাকি শুরু হতেই ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে পাওয়া গেল ক্ষীণ আওয়াজ। তা শুনে তড়িঘড়ি কংক্রিটের চাঙড় সরিয়ে উদ্ধার করা হল আহতকে। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতাল পৌঁছে জানা গেল, সব শেষ।মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল কড়েয়ার বন্ডেল রোড লাগোয়া পালমাঠ এলাকা। কলকাতায় পুরনো বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে মৃত্যু হল ৫১ বছরের যশবিন্দর কউরের। মৃত প্রৌঢ়া যশবিন্দর কউরের ভাইপো বলেন, "কাকিমা আওয়াজ দিল। সেই আওয়াজ পেয়ে ছুটে গেলাম।" 


কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। তা সত্ত্বেও ৮টি পরিবার বাস করছে সেখানে। কলকাতা পুরসভার ৬৫ নং ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নিবেদিতা শর্মা বলেন, পুলিশ জানিয়েছিল, বাড়িটি বিপজ্জনক। এই বর্ষাতেই আমরা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম ওই পরিবারকে। বারণ করা সত্ত্বেও আবার এসেছিলেন। গত মাসে এজেসি বসু রোডে জীর্ণ বাড়ির একাংশ ভেঙে একজনের মৃত্যু হয়। পুরসভা সূত্রে দাবি, বিপদ এড়াতেই বছর পাঁচেক আগেই পাস হয়েছে পুর আইন ৪১২ (এ)। ওই আইনে পুরনো বাড়ি সংস্কারে উৎসাহ দিতে একাধিক ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও বিপজ্জনক বাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুরসভার নজর এড়িয়ে কী করে ওই পরিবার বিপজ্জনক বাড়িতে ফিরে এলেন? প্রশ্ন উঠছে।


গত মাসে সিঁথির কেদারনাথ দাস লেনে বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িতে একাই থাকতেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা। তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে এই বৃদ্ধার। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তার তদন্ত শুরু হয়।