কলকাতা ও পশ্চিম বর্ধমান: আন্তঃরাজ্য এটিএম প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আসানসোল থেকে গ্রেফতার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা। ধৃত ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। 


চলতি বছরের ২৪ মে বাগুইআটির এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয়ে কেওয়াইসি (KYC) আপটেড করাতে বলে তাঁর ডেবিট কার্ডের নম্বর ও মোবাইল ফোনে আসে ওটিপি জেনে নেয় এক ব্যক্তি। 


এরপর গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে বিধানগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ গতকাল আসানসোল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। 


পুলিশের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অথবা পদস্থ আধিকারিক পরিচয়ে গ্রাহকদের এটিএম কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জেনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নেপথ্যে কাজ করছে বড়সড় প্রতারণা চক্র। আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এর আগে, গত ১১ তারিখ এটিএম প্রতারণার অভিযোগে পঞ্জাব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মালদার এক যুবক। ধৃতের বাড়ি ভারত-বাংলাদেশ লাগোয়া বামনগোলার খুটাদহ গ্রামে। 


গত ২১ মে পঞ্জাবের পাঠানকোটে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার কথা বলে ফোনে পাসওয়ার্ড জেনে তিনদফায় তুলে নেওয়া হয় ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। 


তদন্তে নেমে উঠে আসে মালদার যুবকের নাম। গতকাল বামনগোলা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় পঞ্জাব পুলিশ। গ্রেফতার করে ওই যুবককে।


ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে পঞ্জাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার কথা স্বীকার করেও পরিবারের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। 


তার আগে, গত ৮ তারিখ, এটিএম প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খোয়ান মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক সরকারি কর্মী। 


চাঁচল আদালতের কর্মী মোজাম্মেল হকের দাবি, রবিবার রাতে ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে ফোন করে এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার কথা জানান। 


এটিএম নম্বর জানতে চাওয়া হলে ওই গ্রাহক ভুলক্রমে তা বলে ফেলেন বলে দাবি। অভিযোগ, এরপর ওইদিনই ওই সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে তিন দফায় ৪০ হাজার ১৪৯ টাকা গায়েব হয়ে যায়। 


হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ও মালদা জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত গ্রাহক। এ বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার।