নয়াদিল্লি ও কলকাতা: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হল মামলা। হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চের নির্দেশ বাতিলের আর্জি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন এক আইনজীবী।
বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট ছাড়াই পুলিশ কী করে জানল এটা ভুয়ো ভ্যাকসিন? প্রশ্ন তুলে এসএলপি দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তদন্তে আস্থা রেখে হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে, এখনই এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
বর্তমানে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। কিন্তু, সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য হাইকোর্টে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে এই মামলাগুলির একত্রিত শুনানি হয়েছিল। এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছিল, ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব, যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা খুবই বিরল। আমাদের মনে হচ্ছে না, রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও খামতি রয়েছে। তাই তদন্ত প্রক্রিয়ায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সিবিআই তদন্তের আর্জি খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
দেবাঞ্জনের প্রতারণার জালের বিস্তার দেখে বিস্মিত বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, দেবাঞ্জন যে কীভাবে এই ঘটনা ঘটাল, তা ভীষণই আশ্চর্যের। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে।
এরপর, মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য তাঁর সওয়ালে বলেছিলেন,দেবাঞ্জনের সঙ্গে একাধিক নেতা, মন্ত্রী আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছবি দেখা গেছে।তাই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এর প্রেক্ষিতে, অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর ছবি আছে। তবে কি রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তোলা হবে? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে এক মহিলার ছবি দেখা গেছিল। অথচ, মহিলার দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কখনো দেখাই করেননি। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীকেও কাঠগড়ায় তোলা হবে? এটা কি আমাদের দেশের আইন?এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, খুব দ্রুত ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় চার্জশিট পেশ করা হবে।