সুমন ঘড়াই, কলকাতা: খরচ কমানোর পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। রাস্তার জন্য বাজেটে যা বরাদ্দ হয়েছে, তার প্রায় ৬০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করল পূর্ত দফতরের রাস্তা বিভাগ। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।


লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। ফর্ম নিতে একেবারে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।


এই প্রেক্ষাপটে খরচ কমানোর রাস্তায় হাঁটতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পূর্ত দফতরের রাস্তা বিভাগ। 


যেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৬০ শতাংশ খরচ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের বাজেটে রাস্তার জন্য ৪ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। 


যা থেকে ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা খরচ কমাতে বলা হয়েছে। যা মূল বাজেট বরাদ্দের ৫৯ দশমিক পাঁচ পাঁচ শতাংশ। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, খরচ কমাতে নতুন রাস্তা ও ব্রিজ তৈরির পথে না হেঁটে, সংস্কারের উপর জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।


রাজ্যের তিনটি জোনে, কোথায় কোন প্রকল্পে খরচ কমানো হবে, তারও তালিকা বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে মলয় ঘটককে বলেছিলেন, হুটহাট খরচ করবেন না। অন্য মন্ত্রীদের আবার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। 


বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে যেটা হত যা বাজেট বরাদ্দ করা হয়, যদি সেটা খরচ করতে না পারে তা পড়ে থাকত। এখন তা পড়ে থাকতে দেয় না, অন্য কাজে লাগায়।


রাজ্যের মন্ত্রী যাই বলুন না কেন, সরকারের এই খরচ কমানোর উপায়কে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, খেলা মেলার সরকার, উন্নয়নের টাকা নেই। কাজের টাকা নেই। 


সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লুটের রাজত্ব চলছে। এরা ৫০০-১০০০ টাকা দিচ্ছে, আমরা ২০০০ হাজার টাকা দাবি করেছিলাম, এখন তা করছে না, কঙ্কালসার অবস্থা হবে, তোলাবাজি হচলে, ভোট পাওয়ার রাজনীতি করছে। 


যদিও নবান্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, খরচ কমানো হলেও রাস্তা সংস্কারে কোনও খামতি থাকবে না।