রঞ্জিত সাউ, সল্টলেক: বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (Primary TET) উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ। অবিলম্বে নিয়োগ না করলে আত্মহত্যার (Suicide) হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।


সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। পুলিশের সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি। যা ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল বিকাশ ভবন চত্বরে। বুধবারই স্কুলে গ্রুপ-ডি কর্মী (Group-D) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (Central School Service Commission) তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta HighCourt)। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের রাস্তায় নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার আন্দোলনে ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১৫ সালে টেট পাস করেন তাঁরা। এরপর সরকারি উদ্যোগে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা DLEd-এর প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। তাঁদের আরও দাবি, গত বছরের নভেম্বরে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেই নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। বাকি সাড়ে ৪ হাজার পদে এখনও নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। 


এদিন বিকাশ ভবনের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ এসে সরিয়ে দেয়। এরপর ময়ুখ ভবনের সামনে অবস্থান করেন তাঁরা। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মানতে নারাজ সরকার। এপ্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু বলেন, "যাঁরা যোগ্য তাঁরা পাবে। সবাই যোগ্য এমনটা নয়। আমরা বলে দিয়েছিল স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে।'' পর্ষদের দাবি, শূন্যপদ থাকা মানেই সবাইকে নিয়োগ নয়। বাংলা মাধ্যমে টেট উত্তীর্ণকে উর্দু মাধ্যমে নিয়োগ করা যায় না। তবে পর্ষদের আশ্বাস, যাঁরা টেট উত্তীর্ণ তাঁরা পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। নিয়োগকারী সংস্থা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যদি বিক্ষোভকারীরা এমন কোনও শূন্যপদও দেখাতে পারেন, যেখানে তাঁরা নিয়োগের বিবেচনার যোগ্য, তাহলে আগামী তিনদিনের মধ্যে পর্ষদ তাঁকে নিয়োগপত্র দেবে। 


আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: গ্রামের মাঠে অজগর সাপ, মেলেনি বন দফতরের সাহায্য, দড়ি দিয়ে বেঁধে উদ্ধার করলেন স্থানীয়রাই