কলকাতা: খোদ দমকল মন্ত্রীর পাড়ায় অগ্নিকাণ্ড। ভয়াবহ আগুন লেকটাউন মিনি জয়া সিনেমা হলে। সিনেমা হলের তিন এবং চার তলা ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। প্রথমেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। এরপর ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কী থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। তবে ক্রমশই বাড়ছে আগুনের দাপট। 


আগুনে দু-জন আহত হয়েছে। এক মহিলা আগুনে অনেকটাই পুড়ে গিয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। রাত ১০.৪৫ মিনিট পর্যন্তও  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ব্যাপক আকারে ছড়াচ্ছে আগুন।


ঘনবসতি হওয়ার কারণে আগুন ভয়াবহ আকার নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আশেপাশের বাড়ি পুড়ে যাওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। কার্যত রাস্তায় নেমে পড়েছেন প্রত্যেকেই। যদিও আগুনের উৎস এখনও জানা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, সিনেমা হলের ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। 


সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বন্ধ সিনেমা হলের ৪ তলায় আগুন লাগে। সিনেমা হলের ইলেক্ট্রিশিয়ান জানাচ্ছেন, ওপরে একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং তাঁর স্ত্রী থাকতেন। তাঁরা আহত হয়েছেন। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, কার্যত ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে সিনেমা হল। এদিন প্রথমে আগুনের লেলিহান শিখা নজরে আসে নিচে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষীর। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ইতিমধ্যেই ১০ থেকে ইঞ্জিনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫টি। 


গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আশেপাশের বাড়ি থেকে জল ঢালার কাজ করা হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় আগুন বাড়ছে বলেই খবর। দমকল কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। মিনি জয়া থেকে জয়া সিনেমা হলেও আগুন ছড়াচ্ছে। 


ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। চারপাশ ঘুরে দেখছেন তিনি। সুজিত বসু জানিয়েছেন, 'সম্ভাবত ওপরে রান্নার কাজ চলছিল। সেখান থেকেই আগুন লেগেছে।' ঘণ্টা দু-একের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন সুজিত বসু। তিনি আরও জানিয়েছেন, 'ল্যাডার এসেছে। কাজ চলছে। তবে দমকলকর্মীরা ভিতরে পৌঁছে গিয়েছেন।'  


এরপর রাত ১২ টা নাগাদ দমকলের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে খবর। পাশাপাশি আপাতত স্থিতিশীল আহত মহিলাও। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি।