কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল তৃণমূল। নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায় ও মহুয়া মৈত্র।
চিঠিতে তিন তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘নারদ স্টিং-কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তার তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। তুষার মেহতা সেই মামলায় সিবিআইয়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে সওয়াল করছেন। সিবিআই ও ইডি সারদা মামলার তদন্ত করছে। সুদীপ্ত সেন মূল অভিযুক্ত। যিনি একাধিকবার চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। সারদা-মামলাতেও সিবিআইকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলা লড়েছেন তুষার মেহতা। শুভেন্দু অধিকারী যে মামলায় অভিযুক্ত, তাতে সলিসিটার জেনারেলের অফিসকে ব্যবহার করে, মামলার ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই, বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল, এমন আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। তাই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে অবিলম্বে তুষার মেহতাকে তাঁর পদ থেকে সরাতে পদক্ষেপ নিন প্রধানমন্ত্রী।’
সলিসিটর জেনারেল অবশ্য শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘গতকাল না জানিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমার দফতরের কর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীকে অপেক্ষা করতে বলেন। আমার অন্য বৈঠকের পর আমার দফতরের কর্মীরা তাঁকে জানান যে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারব না। আমার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জোরাজুরি না করেই তিনি চলে যান। সুতরাং শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের প্রশ্নই ওঠে না।’
শুভেন্দুও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি সলিসিটর জেনারেল। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘হয়তো কোনও কারণেই গেছেন। এই যে মুকুল রায় নির্লজ্জের মতো তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমাদের বেঞ্চে বসে আছেন। হয়তো পিএএসসির চেয়ারম্যান হওয়ার লোভে। সে কারণেই হয়তো শুভেন্দু গেছেন।’