কলকাতা:  নিয়ম মতো, ১১টা ১৫-তেই মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার কথা। তার ৪০ মিনিট আগে, ১০টা ৩৫-এই খোলা হয়ে গেল প্যাকেট!
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সুভাষগ্রাম হাইস্কুলে এই অভিযোগকে ঘিরে মাধ্যমিকের আবশ্যিক পরীক্ষার শেষ দিনে বাড়ল জল্পনা।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, অঙ্ক পরীক্ষার দিন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, অ্যাডিশনাল সুপারভাইজারকে পান আনতে পাঠিয়ে নিয়ম ভেঙে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে ফেলেন প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়। মায়নাগুড়ি সার্কলে অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক বিশ্বনাথ ভৌমিক বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে খোলার কথা। অনেক আগে খুলেছেন, প্রমাণ আছে। ধরা পড়েছেন অঙ্ক পরীক্ষার দিন।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু বারোটায়। ১১টা ৪৫-এ প্রশ্নপত্র হাতে পায় পরীক্ষার্থীরা। ১১টা ৪০-এ হলের ভেতর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হয়। তার আগে মূল প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খো হয় ১১টা ১৫-য়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, প্যাকেট পাওয়ার পর আধঘণ্টা আগে খুলেছি। অসত্‍ উদ্দেশ্য ছিল না। গ্রাফ পেপারে সেন্টার কোড বসানোর জন্য।
২০১৪ সালে শিক্ষারত্ন পাওয়া প্রধান শিক্ষকের এই ভুমিকায় অসন্তুষ্ট পর্ষদ কর্তারা। অভিযুক্তকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার পর্ষদের উত্তরবঙ্গ অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। কিন্তু এই ঘটনায় পশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই তো? প্রশ্ন উঠছে। মানতে নারাজ পর্ষদ।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষার দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কিছু প্রশ্নপত্রের কপি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আসে। সেগুলি খতিয়ে দেখে পর্ষদ জানায়, এবছরের জীবনবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। পর্ষদের দেওয়া ২০১৭ সালের মডেল প্রশ্নপত্রে ২০১৮ সাল লিখে পুনর্মুদ্রণ করে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি স্কুলশিক্ষা সচিবের মারফৎ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানানো হয়। সাইবার অপরাধ দমন শাখাতেও অভিযোগ জানাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।