নয়াদিল্লি: মুকুল রায়কে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষকে বলল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল  রায়। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের অভিযোগে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ।মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে। তার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে স্পিকারকে অনুরোধ আদালতের।


এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আশা প্রকাশ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের সভার সদস্যপদ খারিজের আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিচারপতি এল নাগেশ্বর ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ অধ্যক্ষ ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার রিটার্নিং অফিসারের দায়ের করা দুটি পৃথক মামলার শুনানিতে এই আশা প্রকাশ করেছে। 


আদালত এই আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও নোটিশ জারি করেনি। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষর পক্ষে সওয়ালকারী অ্যাডভোকেট এএম মনু সিংভির বক্তব্যের পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত। সেখানে বলা হয়েছে, মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের আর্জি নিয়ে অধ্যক্ষর কাছে শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২১ ডিসেম্বর।


মামলার শুনানির দিন আগামী বছরের জানুযারিতে ধার্য করে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, আশা করা হচ্ছে যে, আগামী ২১ ডিসেম্বর এই প্রক্রিয়া নিয়ে অগ্রসর হবেন অধ্যক্ষ। এবং তিনি এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত নেবেন। 


উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি। গত ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরইমধ্যে মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অম্বিকা রায়।