অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: অবশেষে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা তথা ইটভাটার মালিক আনেসুর রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল বিহারের কাঠিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকার রেল লাইনের ধারে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বলরামপুর থানা এলাকার ডালখোলা এবং বারসই রেল স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ধারে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিসুর বাবুর মৃতদেহ দেখতে পায় ওই এলাকার লোকজন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন।


এরপরই মৃতদেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ।  মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঠিহার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর আজ শনিবার ভোর বেলা ভালুকা হাতিছাপা গ্রাম এ মৃতদেহ নিয়ে আসে তার পরিবার। সেখানেই আজ দুপুরে তাকে কবরস্থ করা হবে।


 গত পাঁচ দিন থেকে নিখোঁজ থাকার পরে বিহার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায়  আনেসুর বাবুর পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এর আগে আনেসুরবাবু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে পরিবারের লোকেদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ব্যবসায়িক বিবাদের জেরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।  আনেসুর রহমানের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়াতে তাঁদের দাবি আরো জোরালো হল বলে মনে করা হচ্ছে।  এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে আনেসুর রহমানের পরিবার।


প্রসঙ্গত গত রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি আনিসুর রহমান। রাত গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় ভালুকা ফারি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাঁরা সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে। আনিসুর বাবুর স্ত্রী সঁহ তার পরিবারের লোকেদের দাবি ছিল, বেশ কিছুদিন আগে কালিয়াচকের লোকের সঙ্গে ইটভাটা ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে গণ্ডগোল হয়েছিল এবং কিছুদিন আগে এলাকা সুলতান নগর গ্রামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয় আনিসুর বাবুর। সে সময় তাঁদের দাবি ছিল, আনিসুর রহমানের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে এদের হাত থাকতে পারে। এরপরে গতকাল বিকেলে বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে আনিসুর রহমানের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তার পরিবার।