করুণাময় সিংহ, মালদা: ইংরেজবাজারে তৃণমূলকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে তরজা। বিজেপির দিকে আঙুল তুলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হন বলে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। অন্যদিকে জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।


পুরুলিয়ার পর এবার মালদার ইংরেজবাজার। ফের শ্যুটআউটের ঘটনায় নিশানা শাসক দল। জমি সংক্রান্ত মামলায় পাঁচদিন আগে জামিন পেয়েছিলেন। বাড়ি ফিরতেই হামলার মুখে পড়লেন ইংরেজবাজারের শোভানগরের তৃণমূল কর্মী নেপাল চৌধুরী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার সন্ধেয় নিজের মিষ্টির দোকানের সামনে বসেছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। মোটরবাইকে করে আসা দুই দুষ্কৃতী গুলি করে উধাও হয়ে যায়।


গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার এক প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, 'একজন বলল গুলি করছে, সঙ্গে সঙ্গে নেপালদাকে গিয়ে ধরি, গুলিটা করে দিয়ে বাইকে করে মানিকচকের দিকে চলে যায়, কাউকে চিনতে পারিনি।'


পিঠ থেকে গুলি না বের করতে পারায়, 'মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে। শ্যুটআউটের ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল।'
 
মালদার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বিজেপি যুক্ত, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী এবং জমি মাফিয়ারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে, শেষ দেখে ছাড়ব।


অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, জমি বিবাদে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই তৃণমূল নেতার ওপর হামলা। মালদার বিজেপি জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ, ওর সঙ্গে গন্ডগোল ছিল সইফুদ্দিন বলে একজনের, ওরাও তৃণমূলের, জমি কেনাবেচা নিয়ে ঝগড়া, রেষারেষির জেরে গোলাগুলি।


জেলার পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের একজনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ইতিমধ্যেই অস্ত্র মামলা রয়েছে। জমি বিবাদের জেরে এই ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।