মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিজেপি যুব মোর্চার হিলির ব্লক সভাপতি সুব্রত মালিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতের বাইক নিয়েই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধরা পড়েছে যুব নেতার দুই সঙ্গীও। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হিলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকার।


পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকার। বছর পঞ্চাশের ওই ব্যবসায়ীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে মোটরবাইকে চেপে আসে ৩ দুষ্কৃতী। সেই সময় ব্যবসায়ী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। সেদিনই মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর।


এই ঘটনায় তদন্তে নেমে রবিবার একটি মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, যে বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় তার মালিক বিজেপি যুব মোর্চার নেতা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘আমরা বাইকটি খুঁজছিলাম। সেইভাবেই মালিকের খোঁজ মিলে যায়। মূল অভিযুক্তের নাম সুব্রত মালি। শুধু ও একাই নয়, এই ঘটনায় ওর সঙ্গে আরও দুজনকে ধরা হয়েছে। তবে ঘটনায় সুব্রতর বাইকই ব্যবহার করা হয়েছিল।’


প্রায় ৩ বছর বিজেপি যুব মোর্চার হিলির ব্লক সভাপতি পদে রয়েছেন সুব্রত মালি। কিন্তু এখন তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, ‘গতকাল আমাদের কোর কমিটি সিদ্ধান্তর মতো তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত থাকবে সাসপেনশন।’


 এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আক্রমণের তীর শানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, ‘আমাদের কাছে পাকা খবর আছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ভিন রাজ্যের লোকদের যোগ আছে।’ এদিকে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।