মালদা: মালদার জেলা সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে তৃণমূল। জেলাশাসককে লিখিত ভাবে আবেদন জানাবে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের আগে জেলা সভাধিপতি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন জেলা সভাধিপতি সহ ১৮ জন। ভোটের পর বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরেন ৬ সদস্য। শাসক দলে নাম লেখান ২ বিজেপি সদস্যও।
মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা মোট ৩৭।  জেলা পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি  করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপি বলেছে, অনাস্থা ডাকলেই প্রমাণ হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
বিধানসভা ভোটে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি মালদাতেও ঘাসফুলের ব্যাপক চাষ হয়েছে।১২ টি আসনের মধ্যে ৮ টিই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।আর ভোটে এই সাফল্যের পরই, এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা কোঅর্ডিনেটর  হেমন্ত শর্মা বলেছিলেন, জেলা পরিষদের ২৬ জন সদস্য তৃণমূলেই আছেন, সভাধিপতির বিরুদ্ধে দ্রুত অনাস্থা ডাকা হবে, যাঁরা দলত্যাগ করেছেন তাঁদের জেলা পরিষদের সদস্যপদ খারিজের জন্য আবেদন করা হবে।
ভোটের আগে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।তাঁর সঙ্গে আরও ১৩ জন সদস্য যোগদান করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। সেইসঙ্গে গেরুয়া শিবির দাবি করেছিল, মালদা জেলা পরিষদও তারা দখল করেছে।তবে ভোট চলাকালীনই কয়েকজন ফিরে আসেন পুরনো দলে। শুধু তাই নয়, বিজেপি থেকেও জেলা পরিষদের কয়েকজন সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে।
তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য সাগরিকা সরকার দাবি করেছিলেন, বাংলা ও মালদায় বিজেপির কিছু নেই, উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি, মালদা জেলা পরিষদ তৃণমূলের ছিল, থাকবেও।


বিজেপি অবশ্য বলেছে, জেলা পরিষদে তাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব আনলেই প্রমাণ হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।


উল্লেখ্য, ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসতে আর্জি জানিয়েছেন একাধিক নেতানেত্রী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সরলা মুর্মুও। তাঁকে এবারের ভোটে হবিবপুর আসনে প্রার্থী করেছিল দল। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের পর তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়ে সরলা মুর্মু বলেছিলেন, রলা মুর্মু বলেছেন, মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করতে চান। এবং জেলা পরিষদে যে আস্থা ভোট রয়েছে, সেখানে তিনি তৃণমূলের হয়ে ভোট দিতে চান।