ঋত্বিক মণ্ডল ও রুমা পাল, কলকাতা: আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প চালু হচ্ছে। আজ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে দু’মাস ধরে চলেছে পাইলট প্রজেক্ট। যদিও রেশন ডিলারদের (Ration Dealer) একাংশ এই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল দু’মাস আগেই। এবার চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে চালু হয়ে যাচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো বঙ্গজয়ের হ্যাটট্রিকের পরই গত ১৫ সেপ্টেম্বর চালু হয় ‘দুয়ারে রেশনে’র পাইলট প্রজেক্ট।
রাজ্যের ২০ হাজার ২৬৮টি রেশন দোকানেই এই প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। কিন্তু দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা নিয়ে বেঁকে বসেন রেশন ডিলারদের একাংশ। তাঁদের দাবি, প্রতিটি রেশন দোকানে ২ জন করে কর্মী রয়েছেন। এত কম সংখ্যাক কর্মী নিয়ে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা প্রায় অসম্ভব। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন রেশন ডিলারদের একাংশ। ১০ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মূল মামলার শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন, রাজ্যে ফের শুরু হবে দুয়ারে সরকার, দিন ঘোষণা মমতার
এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে চালু হবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। এ নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকাও জারি করেছে খাদ্য দফতর। তাতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে গ্রাহকের বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। পাহাড়, সুন্দরবন, জঙ্গলমহলের কিছু দূরবর্তী জায়গায় কীভাবে রেশন পৌঁছোনো হবে, তা আলাদাভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। সেই পরিকল্পনায় অনুমোদন দেবে খাদ্য দফতর।
ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করে, আগাম তারিখ ও সময় জানিয়ে রেশন ডিলারদের গ্রাহকদের বাড়িতে সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। বৃষ্টি বা কোনও দুর্যোগের ক্ষেত্রে ICDS সেন্টার, স্কুলের বারান্দা, অথবা কোনও সরকারি প্রাঙ্গনে রেশন সামগ্রী সাময়িকভাবে রাখা যেতে পারে। রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলাদা করে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। ওজন করে রেশন সামগ্রী দিতে হবে।