উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, রুমা পাল ও দীপক ঘোষ: অধীর চৌধুরীর গড়ে দাঁড়িয়ে বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আপনার একটা ভোট অন্য জায়গায় পড়লে চলে যাবে বিজেপির দিকে। আপনার সিম্বল একমাত্র জোড়াফুল। কংগ্রেস, সিপিএম কিংবা বিজেপি নয়। ভোট দেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে, যদি বিজেপিকে চান, তাহলে ভোট অন্য জায়গায় যেতে পারে।
লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলায় দারুণ ফল করলেও, বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারাতে পারেনি তৃণমূল! শক্তি কমলেও, বামেরা এখনও মুর্শিদাবাদে প্রাসঙ্গিক!
এই পরিস্থিতিতে নবান্নে পৌঁছতে ৬৬ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নবাবের জেলায় দাঁড়িয়ে বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বললেন, কংগ্রেস জিতবার জন্য বড় বড় কথা বলবে। বিজেপির বিরুদ্ধে ওরা লড়তে চায় না। বিজেপির বড় বন্ধু সিপিএম। ওদের বিরুদ্ধে সিপিএম, কংগ্রেস লড়তে পারবে না। তৃণমূলই পারবে।
২০১১-র বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদের ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুধু সাগরদিঘিতে জয়ী হয় তৃণমূল। ২০১৬-তে মুর্শিদাবাদের মাত্র ৪টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে সেনাপতি করে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছিল তৃণমূল!
মমতা বলেন, বারবার মুর্শিদাবাদে এসেছি, কিন্তু মুর্শিদাবাদ টোটালটাই কংগ্রেস হয়ে গেল। তৃণমূল গড়লাম। কিন্তু কাউকে পেলাম না। প্রথম ১ থেকে ৪ হল। পরে কংগ্রেস আর সিপিএম থেকে অনেকে এসেছেন। গত লোকসভায় ৩টের মধ্যে ২টো লোকসভা আমাদের জিতিয়েছেন। এবার ভোটে আমাদের জেতান।
দু’দিন আগে হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে বাম-কংগ্রেস আর তৃণমূলের মধ্যে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’-এর অভিযোগ তোলেন নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, ওদের মধ্যে ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে, পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসকে একসারিতে ফেললেন।
দুই দলের দুই শীর্ষনেতার টার্গেট হওয়ার পর, বাম-কংগ্রেসের কটাক্ষ, জোটকে ভয় পাচ্ছেন! তাই আক্রমণ করছেন মোদি-মমতা। বিজেপি-তৃণমূলকে টক্কর দিতে নেমেছে বামেরা! সঙ্গী কংগ্রেস। তারা লড়াই দিতে পারবে কি না, উত্তর মিলবে ভোটের ফলে।