হাওড়া: বিধানসভায় তাঁর নিশানায় ছিল বাম-কংগ্রেস। তার কিছুক্ষণ পর হাওড়ার ডুমুরজলায় দলীয় সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানালেন বিজেপিকে।
গতকালই সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এদিন তার সমালোচনায় মুখর হলেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, বিজেপি তো বাজেট করতেই শেখেনি। হতাশায় ঘাবড়ে গিয়ে, ক্ষমতায় থেকে চলে যাওয়ার ভয়ে এই বাজেট করেছে তারা।

এদিন মমতার কটাক্ষ, বলছে বাম্বু মিশন তৈরি করবে, মাথা থেকে এল কোত্থেকে? তাঁর দাবি, এখানে তিনজন একসঙ্গে লড়লেও আমাদের হারাতে পারবে না। তৃণমূলনেত্রী বলেন, স্বাস্থ্য প্রকল্পের নামে পুরোটাই কেন্দ্রের ভাঁওতা। ২০১৯-এ এমন হারবে, কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মমতা জানান, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। তাঁর মতে, সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। তৃণমূলনেত্রীর কটাক্ষ, টাকা দিয়ে, বাইক দিয়ে বাংলা জয় করা যায় না। তিনি যোগ করেন, কিছু ভোট যেটা ওরা পাচ্ছে, সেটা সিপিএমের। কোথাও কোথাও কংগ্রেসের সঙ্গেও বিজেপির বোঝাপড়া আছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে এদিন নাম না করে ফের একবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে ‘গদ্দার’ ও ‘মিরজাফর’ বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, একটা দু’টো গদ্দার সব জায়গাতেই থাকে। মিরজাফরদের বিশ্বাস করবেন না। বিশ্বাসঘাতকরা চলে গেছে, দলটা বেঁচে গেছে।

দলীয় সভা থেকে দলকে আরও শক্তিশালী করার ডাক দেন শীর্ষনেত্রী। বলেন, আমি নেতা, এমন অহঙ্কার করার জায়গা নেই। যে কর্মী নিজেকে কর্মী বলে অহঙ্কার করতে ভালবাসেন, যে নিজেকে কর্মী বলে ভাবেন, তাকে একশোয় একশো দেব। মমতার মতে, দলটাকে চোখের মণির মতো পাহারা দিতে হবে। তিনি জানিয়ে দেন, এখানে টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হয় না। যারা লোভ সংবরণ করতে পারে, তাদের ভালবাসি।
মমতা আরও বলেন, জেলায় জেলায় সোশাল নেটওয়ার্ককে স্ট্রং করতে হবে। তাঁর দাবি, তৃণমূল না থাকলে, মানুষের কথা বলার কেউ থাকবে না। এত কাজের মধ্যে জনসংযোগ করতে পারলে, আপনারাও পারবেন।