কলকাতা: দেশজুড়ে ছড়িয়ে জাল মার্কশিট চক্র। এ রাজ্যেও বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে ভুয়ো মার্কশিট চক্র চালানোর অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এবার ‘ডিজিটাল-দাওয়াই’য়ের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার!
সরকারের দাবি, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল মার্কশিট চালু হলে, যেমন জাল রোখা সম্ভব হবে, তেমন উপকৃত হবেন চাকরিপ্রার্থীরাও।
সরকারি সূত্রে খবর, মার্কশিটের ডিজিটাইজেশনের জন্য ইতিমধ্যে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ৬-৮ মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে।
উচ্চশিক্ষার সব ডিগ্রি মার্কশিটের সফট কপিতে থাকলেও, তার পৃথক একটি ডিজিটাল ভার্সান তৈরি হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এই তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ধাপে ধাপে পুরোনো মার্কশিটগুলিকেও এই ‘ডিজিটাল ব্যাঙ্কের’ অধীনে আনা হবে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এই ভাবনা রাজ্য সরকারের? নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক আন্তঃরাজ্য ভুয়ো মার্কশিট চক্রের অভিযোগ জমা পড়ে। গত দু’মাসে দত্তপুকুর থানায় এ নিয়ে ৩টি অভিযোগ দায়ের করেন উপাচার্য। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে-ও জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চশিক্ষা দফতর।
স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বত্রই এখন কাগজের মার্কশিট দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু ওই মার্কশিট হারিয়ে গেলে সমস্যায় পড়েন অনেকে। ডুপ্লিকেট মার্কশিট পেতে বহুক্ষেত্রেই ‘জুতোর শুকতলা’ ক্ষয়ে যায় বলে অভিযোগ।
সরকারি, বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগের সময়ও চাকরিপ্রার্থীর মার্কশিট যাচাই করা হয়।বহু ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতিতে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ ওঠে। ফলে নিয়োগপত্র পেতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। ডিজিটাল-মার্কশিট চালু হলে, এই সব সমস্যা দূর হবে বলে মত শিক্ষামহলের একাংশের।