কলকাতা: ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধ-ধর্মঘট নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন আর-পাঁচটা কর্মনাশা ধর্মঘটকে যেভাবে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার কথা বলা হয়েছে, ব্যতিক্রম হয়নি এবারও!
সোমবার বামেদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামছে সরকার। প্রশাসন বুঝিয়ে দিয়েছে, ধর্মঘটের নামে কোনও রকম নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে সোমবার। কোনও রকম আইন অমান্য বরদাস্ত হবে না। জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে।
প্রশাসনের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার দফতরে সমস্ত সরকারি কর্মীর হাজিরা বাধ্যতামূলক। এই দু’দিন কেউ কাজে না এলে, বেতন কাটা যাবে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে।
প্রশাসনের পাশাপাশি তৎপর কলকাতা পুলিশও। বামেদের ধর্মঘট মোকাবিলায় শহরজুড়ে থাকছে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা। লালবাজার সূত্রে খবর, রাস্তায় রাস্তায় মোবাইল পেট্রোলিং চলবে। রেল স্টেশন, বাস ও ট্রাম ডিপো, মেট্রো স্টেশন, ফেরিঘাট, শপিং মল ও বাজারের মতো জনবহুল জায়গায় বসবে পুলিশ পিকেট।
সকাল ছ’টা থেকেই রাস্তায় থাকবেন সব থানার সিনিয়র অফিসাররা। রাজপথে থাকবে হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। জোর করে ধর্মঘট করার চেষ্টা হলে, তৎক্ষণাৎ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি করিডর, অর্থাৎ যেসব জায়গা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের কর্মীরা যাতায়াত করেন, যেমন বানতলা, উল্টোডাঙা, ইএম বাইপাসে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী।
বামেরা যেদিন ধর্মঘট ডেকেছে, সেদিনই কলকাতায় দলীয় মিছিলে হাঁটবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বেলা বারোটায় কলেজ স্কোয়ার শুরু হবে এই মিছিল। কলেজ স্ট্রিট, হিন্দ সিনেমা, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল যাবে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত।
তৃণমূলের এই মিছিল ঘিরে যাতে যানজট তৈরি না হয়, সে জন্যও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।