কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বারবার দেখেছে। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ‘ঘেরাও-নাগপাশে’ বহুদিন ধরেই বন্দি এ রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনগুলি। এবার এই ‘ঘেরাও-সংস্কৃতি’কে সমূলে উৎপাটন করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার!
কিন্তু সরকারি আচরণবিধিতে কী কী থাকছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি শিক্ষামন্ত্রী।  তবে সূত্রের খবর, কী করা যাবে, এবং কী করা যাবে না, সে বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করবে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে, ঘেরাও করা চলবে না। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র পোস্টারিং করা যাবে না। যখন তখন আন্দোলন, অবস্থানো করা যাবে না।
ঘেরাওয়ের নামে নৈরাজ্যের এই সব ছবি নানা সময়ে দেখেছে বাংলা। কোথাও ক্যাম্পাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন উপাচার্য-অধ্যক্ষ-সহ আধিকারিকরা। কখনও চেম্বারেই রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। ঘটনা পরম্পরায় ক্রমেই জোরাল হয়েছে ক্যাম্পাসে ঘেরাও নিষিদ্ধ করার দাবি।
ছাত্রদের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও এই আচরণবিধির আওতায় আনা হবে। সূত্রের খবর, আচরণবিধিতে বলা থাকবে, শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে আসতে হবে। কতটা সময় তাঁদের ক্লাসে থাকতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।
যদিও এই সরকারি আচরণবিধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের ছায়া দেখছে শিক্ষামহলের একাংশ। শিক্ষকদের হাজিরার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর ভাবনা রয়েছে সরকারের।