মঙ্গলবার বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রথম বৈঠক করেন মানস। বাম-কংগ্রেসের তরফে কেউ না থাকলেও, তৃণমূলের কয়েকজন বিধায়ক এই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মানস জানান, কংগ্রেস বলতে আমি বুঝি সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী। তাঁরা কিছু জানতে চাইলে, তাঁদেরকেই বলব।
সাংবাদিক বৈঠক শেষ হতেই মানসকে পরিষদীয় দলের ঘরে ডেকে নিয়ে যান কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী। মানসের হাতে ৪০ জন কংগ্রেস বিধায়কের সই সম্বলিত চিঠি তুলে দেন তিনি। ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, রাজ্যের মানুষের সামনে কংগ্রেসকে অপদস্থ করার জন্য, আপনাকে পিএসি চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়কদের তরফে আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনি পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিন।
যদিও, এদিনও মানস ফের দাবি করেছেন, আগে বিধায়কদের সই করিয়ে তারপর এই চিঠির বয়ান লেখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, দলীয় বিধায়কদের আলাদা-আলাদা ভাবে চিঠির জবাব দেবেন মানস।
পিএসি-র প্রথম বৈঠকের দিনই পদ-নিয়ে মানস ভুঁইয়াকে খোঁচা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।তিনি বললেন, মানস ভুঁইয়া চাইছেন শহিদ হতে। মানস পদ না ছাড়লে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
এদিনও আব্দুল মান্নানকে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন মানস ভুঁইয়া। যদিও পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেননি বিরোধী দলনেতা। মান্নানের দাবি, তিনি যা করেছেন, তা হাইকম্যান্ডের নির্দেশ মেনেই।
আগামী ১৫ জুলাই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বর্ধিত বৈঠক। সূত্রের খবর, বিধায়কদের পদ ছাড়ার আর্জিতে মানস যদি সাড়া না দেন, তাহলে ওই দিন ফের একই আবেদন জানিয়ে মানস ভুঁইয়াকে চিঠি দেবেন অধীর চৌধুরী।