মালদা: একদিনের ঝড়-জল ও শিলাবৃষ্টিতে মালদায় ক্ষতিগ্রস্ত আমের ফলন। ঝরে গিয়েছে প্রচুর আম। ক্ষতি হয়েছে ধান ও পাট চাষেও। মাথায় হাত কৃষকদের। ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু কাঁচা বাড়িও। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে। জানিয়েছেন জেলাশাসক।
এক নাগাড়ে তুমুল বর্ষণ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও দোসর শিলাবৃষ্টি। সোমবার রাত থেকে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরেই মাথায় হাত মালদার আম চাষিদের।
চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমের বাগান। ঝরে গিয়েছে ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি। এবছর মালদার ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন। সূত্রের খবর, ঝড়-বৃষ্টির জেরে ক্ষতি হয়েছে ২০ শতাংশ আমের ফলন।
এছাড়াও নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার একর জমির ধান ও পাট। হরিশ্চন্দ্রপুরের মহম্মদ শামিম বললেন, ধান ও পাট চাষ করেছিলাম। ঝড় শিলাবৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। খাওয়ার মতো কিছু বাঁচেনি।
এছাড়াও ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে বেশ কিছু মাটির বাড়ি। উড়ে গিয়েছে কিছু বাড়ির চাল। স্থানীয় ক্লাব ও স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।
চাঁচলের বাসিন্দা শেখ দানেশ আলি বলেন, ঝড় শিলাবৃষ্টিতে বাড়ির চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার আরও কয়েকটি কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। বললেন, হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনকে বলব ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে ব্যবস্থা নিতে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, কৃষি দফতরের আধিকারিকদের ব্লকে ব্লকে পাঠানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি নিয়ম মেনে সাহায্য করা হবে।
মালদার কৃষি অর্থনীতির ৯০ শতাংশ আমের উপর নির্ভরশীল। গত বছর উম্পুনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমের ফলন। এবার ফের আম চাষ ক্ষতি হওয়ায় অর্থনীতি ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এখনও মালদায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, সেখানে গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে।