কলকাতা: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। ভর দুপুরেই নামল আঁধার। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় শুরু বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। 


সকাল থেকেই বীরভূম, দুই দিনাজপুর, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বৃষ্টি হচ্ছে।


কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিতে কোনও কোনও রাস্তায় জলও জমে যায়। কাজের প্রয়োজনে বেরোনো মানুষজন সমস্যায় পড়েন।


জল থৈ থৈ কলকাতার দক্ষিণ থেকে উত্তর। জলমগ্ন পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ। জলমগ্ন বিবাদী বাগ। ঠনঠনিয়াতেও একই অবস্থা। জলমগ্ন এক্সাইড-রবীন্দ্র সদন মোড়। জলমগ্ন উল্টোডাঙা, সল্টলেকও। 


এক নজরে দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ -- ঠনঠনিয়া - ৮৭.৯ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটা - ৬৭.৫ মিলিমিটার, বীরপাড়া - ৬০.৮ মিলিমিটার, ধাপা - ৮৬ মিলিমিটার। 


দেড় ঘণ্টা ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। হাওড়া এলাকায় অন্তত ৪০টি ওয়ার্ডে জল জমে গিয়েছে। পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু, ফের বিকেলে নতুন করে বর্ষণ শুরু হওয়ায় সেই কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। 


মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বাজ পড়ে  ১ জন মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, জমিতে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক কৃষকের।


পুরুলিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভেঙে পড়ে গাছ। দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের সামনে ভাঙল গাছ। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান রোগী ও পরিজনরা। 


মালদাতেও বৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, সেখানে গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। মালদা ও হরিশ্চন্দ্রপুরে শিলাবৃষ্টিতে আম, ধান ও পাট চাষের ক্ষতি হয়েছে। কিছু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে।


আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এখনও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আরও কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হবে।


প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে নানুরে। গাড়ি-ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে গাড়ির চালক-সহ ২জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ডাম্পারকে ধাক্কা মেরে মাঠে পড়ে যায় গাড়ি। গাড়ি কেটে নিহতদের বের করে পুলিশ।