কলকাতা: শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে মাথাভাঙার এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডলকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। 


আজ ভবানী ভবনে এসডিপিও-কে তলব করা হয়েছিল। মাথাভাঙা থানার আইসি-র বয়ানের ভিত্তিতেই, তাঁকে ডাকা হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে খবর। 


সেই অনুযায়ী, এদিন সকালে সিআইডি সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন সুরজিৎ। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ  জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিআইডি সূত্রের খবর, এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে উত্তর দিনাজপুরের তৎকালীন এসপি দেবাশিস ধরকে।


প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরই, গতি বেড়েছে শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের তদন্তের। 


গত ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচির জোর পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। 


তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ১২৬ নম্বর বুথে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ান কর্তব্যরত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ডেপুটি কম্যাড্যান্ট, একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার এবং চারজন কনস্টেবল ছিলেন।


এই ৬ জনকেই মঙ্গলবার ভবানীভবনে তলব করেছিল সিআইডি। সূত্রের খবর, করোনা আবহে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়েছিলেন সিআইএসএফ-এর আইজি। কিন্তু, তা খারিজ করে দিয়ে মঙ্গলবার ভবানীভবনে সশরীরে ৬ জনকে হাজিরা দিতে বলা হয়।


কিন্তু, ভবানীভবনে আসেননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই ৬ জওয়ান। সিআইডি সূত্রে দাবি, এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় সোমবার মাথাভাঙা থানার আইসি-কে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল মাথাভাঙা থানার এক এসআই-কে। 


সূত্রের খবর, ঘটনার সময় তিনিই কিউআরটি মোবাইল ভ্যানের দায়িত্বে ছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর সময়, তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন বলে সিআইডি সূত্রে খবর। বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। 


এখন, কোচবিহারের তত্‍কালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে তলব করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 


এরইমধ্যে এবার শীতলকুচিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ১৩ মে কলকাতা থেকে বিএসএফ-এর হেলিকপ্টারে শীতলকুচি-সহ কোচবিহারের ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করব।