শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বাড়িতে খাঁচায় বন্দি মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার নাবালিকা।এমনই আশ্চর্য ঘটনা কোবিহারের মথাভাঙায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কাতেই এমন ব্যবস্থা, দাবি তার বাবা-মায়ের। খবর পেয়ে আজ নাবালিকার পরিবারে গিয়ে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রশাসনের।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার। কিছুই বোঝে না। হুটহাট রাস্তায় বেরিয়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। বাড়িতেও কখনও কখনও আগুনের কাছে চলে যায়। কিছুই বুঝতে পারে না সে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কাঁটা বাবা-মা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নাবালিকাকে বাড়িতে খাঁচায় বন্দী করে রেখেছিলেন।কাঠ দিয়ে ঘেরা এই খাঁচার মধ্যেই নাবালিকাকে বসিয়ে রাখতেন তার বাবা-মা। তার চিকিৎসাও ঠিকমতো হচ্ছিল না। বলা ভাল, চিকিৎসা করানোর মতো সঙ্গতি নেই বাবা-মায়ের।মেয়েটির বাবা পেশায় দিনমজুর। জন্ম থেকে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হতদরিদ্র পরিবারের ওই নাবালিকা। চিকিৎসা করানোর জন্য অনেকবারই স্থানীয় পঞ্চায়েত ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন ১৬ বছরের ওই নাবালিকার বাবা-মা। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। পরিবারের দাবি, জন্ম থেকেই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার ওই কিশোরী। চিকিৎসার কোনো উপায় না পেয়ে এমনটা করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। অবশেষে ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে এসেছে।
প্রশাসনের নজরে আসার পর আজ নাবালিকার বাবা-মায়ের কাছে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ব্লক মহাকুমা প্রশাসন এবং পুলিশের উপস্থিতিতে নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিন নাবালিকার বাড়িতে যান মাথাভাঙা ২ এর বিডিও, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ও ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ। বিডিও মাথাভাঙা ২ উজ্জ্বল সর্দার জানিয়েছেন " খবর পাওয়ার পর আমরা গিয়েছিলাম। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিন নাবালিকার বাবা-মায়ের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনের আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। এরপর তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস নাবালিকার পরিবারকে দিয়েছে প্রশাসন।