কোচবিহার: এবার তৃণমূলে ফিরতে চান ভূষণ সিংহ।বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ভোটের পর বিজেপি ছাড়েন কোচবিহারের প্রাক্তন পুর-প্রশাসক। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন ভূষণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘কাজ করার সুযোগ ছিল না বলে বিজেপি ছেড়েছি। তৃণমূলে ফিরে আবার দলের জন্য কাজ করতে চাই।’


ভূষণ বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন। এখন দলের শীর্ষ নেতারা কী সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই তাকিয়ে ভূষণ।


এ ব্যাপারে কোচবিহার জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, ভোটের আগে অনেকেই অঙ্ক কষছিলেন যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।এই অঙ্ক কষে অনেকেরই মাথা ব্যথা, দলে দমবন্ধ লাগছিল। এখন তাঁদের অনেকেই তূণমূলে ফিরতে চাইছেন। বিষয়টি নেত্রীর বিবেচনাধীন।তবে এ ধরনের মানুষজনকে যত কম নেওয়া যায়, ততই ভাল। অন্যদিকে, বিজেপি বলেছে, ভোটের আগে ভেবেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। এখন বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারায় তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এক্ষেত্রে চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি পরিষ্কার। বিজেপি সম্পর্কে উনি জানেন, উনি তো কাজই করলেন না। এখন বলছেন,কাজ করার সুযোগ ছিল না।


উল্লেখ্য, এবার বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের যেন হিড়িক পড়েছিল। প্রায় প্রত্যেকদিনই কোনও না কোনও তৃণমূল নেতা বিজেপির পতাকা ধরছিলেন। ভূষণ সিংহও শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।বিধানসভা ভোটের আগে ৩ এপ্রিল দিনহাটায় শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিজেপিতে যোগ দেন ভূষণ সিংহ। কিন্তু, বিধানসভার ভোটের পরই ২১ মে মোহভঙ্গ হওয়ায় বিজেপি ত্যাগ করেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুর-প্রশাসক। 


ভোটের পর একাধিক দলত্যাগী নেতা তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সোনালি গুহ থেকে শুরু করে দীপেন্দু বিশ্বাস,সরলা মুর্মু, অমল আচার্য। এবার সেই তালিকায় যোগ হল ভূষণ সিংহর নামও।