কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে নিম্নচাপ সরে গেলেও সন্ধ্যায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে। দিনভর বৃষ্টিতে ভিজল উত্তরবঙ্গ।
সকাল থেকেই মুখ ভার ছিল শহরের আকাশের। সন্ধে নামতে শুরু হয় বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের মাথার ওপর থেকে নিম্নচাপ সরে গেলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায়। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী বৃষ্টি।
জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে এদিন সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি হয়। প্রবল বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি, এদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ কয়েকটি জেলায়।
বৃষ্টির জেরে এদিন সকালে পুরুলিয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটবাঁধে একটি বাড়ি ধসে পড়ে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বছর চারেকের এক শিশুর। সার্বিকভাবে বৃষ্টি কিছুটা কমায়, জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ। সন্ধে পর্যন্ত ছাড়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৫০০ কিউসেক জল।
নবান্নে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জল ছাড়া অনেকটাই কমিয়েছে ডিভিসি। আরও যাতে কমানো হয়, তার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় রাজ্যের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলের তলায়। বাঁকুড়ার বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বাড়ায় বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাঁকুড়া-রাইপুর সড়কে বন্ধ যান চলাচল। চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা।
সিমলাপালে বেড়েছে শিলাবতী নদীর জলস্তর। আশপাশের গ্রামগুলিতে দেখা দিয়েছে প্লাবনের আশঙ্কা। সোনামুখীতে শালী নদীর জলস্তর বাড়ায়, সোনামুখী-দুর্গাপুর সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন।