দক্ষিণ দিনাজপুর: গৃহশিক্ষকের ‘যৌন নির্যাতন’। ‘আত্মঘাতী’ নাবালিকা ছাত্রী। বইয়ের মধ্যে থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত।
স্কুলে ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে ঘিরে যখন উত্তাল কলকাতা, তখন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের পতিরামে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নাবালিকা ছাত্রীর আত্মহত্যায় গ্রেফতার গৃহশিক্ষক।
গত ২৫ নভেম্বর বাড়িতে আত্মঘাতী হয় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। কিন্তু কেন এই ঘটনা তা বুঝতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, কয়েক দিন আগে, ছাত্রীর বইয়ের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে লেখা--গৃহশিক্ষক সুজন মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন করছেন। একা পড়ানোর জন্য ডেকে নির্যাতন করতেন তিনি।
এরপরই ওই গৃহশিক্ষকের বিরদ্ধে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগ দায়ের হতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
ছাত্রীর সুইসাইড নোটের প্রেক্ষিতে প্রায় ২ সপ্তাহ পর পুলিশের জালে গৃহশিক্ষক। বুধবার ঠাকুরপুরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পড়ুয়াদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করাই তাঁর কাজ। কিন্তু তিনি কী করে এমন করলেন? তা ভেবেই পাচ্ছেন না কেউ। সবাই চান কঠিন শাস্তি।