শান্তিপুর (নদিয়া):  পুলিশ ও তৃণমূল কাউন্সিলরের আঁতাঁতে নাবালিকা মেয়ে-সহ গৃহবধূকে লক আপে আটকে রাখার অভিযোগ! বিতর্কে নদিয়ার শান্তিপুর থানা! প্রশ্নের মুখে কাউন্সিলরের ভুমিকাও!
প্রমীলা ধোনি নামে মহিলার অভিযোগ, গত ১২ মার্চ স্বামী তাঁকে মত্ত অবস্থায় মারধর করেন। কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা হয়! বধূকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। বাড়িতে যান এএসআই জয় দাস ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস ঘোষ।
অভিযোগ, ৯ বছরের মেয়ে-সহ এই গৃহবধূকে তিন দিন থানার লক আপে আটকে রাখা হয়। অভিযোগকারিণীর দাবি, পুলিশ ও কাউন্সিলর এল। আমি যে অবস্থায় ছিলাম, ওই অবস্থাতেই আমাকে ও আমার ৯ বছরের মেয়েকে নিয়ে থানায় নিয়ে গেল। লক আপে আটকে রাখল।
মহিলার দাবি, তিনি প্রতিবাদ জানালে, ১৪ মার্চ চারটি সাদা কাগজে সই করিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পর, অ্যাসিড-হামলার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে!
অভিযোগকারিণী বলেন, ১৫ তারিখ রাতে, মেয়েকে নিয়ে যখন ঘরে ছিলাম। তখন কয়েক জন যুবক এল। বলল থানার বড় বাবু পাঠিয়েছে। কেম আছি জানতে চাইল। বললাম ভাল। বলল মুখ বাড়ান। মুখ বাড়ালে, ওরা বলল, কাউন্সিলরের নামে অভিযোগ করলে মা-মেয়েকে অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেব।
যদিও তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। স্বামীর পক্ষ নিয়ে, পারিবারিক বিবাদে হস্তক্ষেপের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেন, ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজই ঝামেলা হত। সেদিন পাড়ার লোকেরা বাড়িতে গিয়েছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে ডাকে, তাই গিয়েছিলাম। পুলিশ ওদের নিয়ে গেল। তারপর পুলিশ কী করেছে বলতে পারব না। পুলিশ-প্রশাসনের ব্যাপার।
যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি, শান্তিপুর থানার এএসআই জয় দাস। গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে, পুলিশ সুপার ও রানাঘাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূ। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এসপি।