পশ্চিম বর্ধমান: পরিত্যক্ত ঘরে ১০ বছরের মেয়েটাকে গলায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল! যে ঘরে ছাগল রাখা হয়, সেই ঘরেই মেয়েকে রেখে, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন মা! মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোমবার সকালে দুর্গাপুর থানা এলাকার আমরাইয়ের বাসিন্দা, মালতি নুনিয়া এভাবেই মেয়েকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে কাজে চলে যান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে ১০ বছরের বালিকাকে উদ্ধার করে। জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির উদ্যোগে বালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কেন ১০ বছরের মেয়েটার ওপর এমন নির্মম অত্যাচার? আজব সাফাই মায়ের। মালতি নুনিয়া বলেন, পালিয়ে যায় বলে বেঁধে রেখেছিলাম।মালতির বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, এটি মালতির দ্বিতীয় বিয়ে। বালিকাটি তাঁর নিজের মেয়ে নয়, সেজন্যই অত্যাচার।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। তাঁর দাবি, মেয়ে তাঁর নিজের। অভিযুক্ত মাকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, মেয়েটির ঠাঁই হয়েছে হোমে।