কলকাতা: দলের রাজ্য দফতরে বাঁধভাঙা আবেগ।তৃণমূল ছেড়ে আসা মুকুল রায়কে এভাবেই স্বাগত জানাল রাজ্য বিজেপি। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের মধ্যে পার্টি অফিসে এলেন একদা তৃণমূলের নম্বর ২।  রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বাগত জানালেন মুকুলকে। সংবর্ধনা দেয় বিজেপির মহিলা মোর্চাও।
মুকুল বললেন, বিমানবন্দর থেকে এখানে আসতে যে অভ্যর্থনা পেলাম তাতে আমি আপ্লুত।
দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে, প্রথমবার কলকাতায় এসে মুকুল রায়ও জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কাজ করতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই।
বললেন, জাতীয় ক্ষেত্রে আমার নেতা অমিত শাহ। বাংলায় আমার ক্যাপ্টেন দিলীপ ঘোষ।বাংলায় যোগ্য সেনাপতির সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা নিয়েই এসেছি। দিলীপের নেতৃত্বেই বাংলায় অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে বিজেপি।
তৃণমূল ছেড়ে কেন তিনি পদ্ম শিবিরে গেলেন, এদিনও তার কারণ ব্যাখ্যা করেন মুকুল রায়।
দাবি করলেন, বাংলায় কাঙ্খিত পরিবর্তন আসেনি। যারা প্রকৃত পরিবর্তন চান তাঁরা বিজেপির পতাকাতলে আসুন। বাংলার মানুষ বিকল্পের খোঁজ করছেন। বিজেপিই সেই বিকল্প। বিজেপিই রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাবে।
তৃণমূল ছেড়ে মুকুল দাবি করেছিলেন, ২০০৩ সালে মমতার নির্দেশে আরএসএস ও অশোক সিঙ্ঘলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এদিন মুকুলকে পাশে নিয়ে সেই সুরই শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বললেন,বিজেপি-মুকুল সম্পর্ক বহু পুরনো। তৃণমূল-বিজেপি সমঝোতার সময় মুকুল ছিলেন কারিগর। তাই বাড়িটা নতুন, পার্টিটা নয়।
তবে প্রথমবার রাজ্য বিজেপি দফতরে এসে, তৃণমূলকে সেভাবে চড়া সুরে আক্রমণ করেননি মুকুল রায়। ইঙ্গিত দিয়েছেন বোমা ফাটানোর! বলেছেন, আমার অনেক কিছু বলার আছে। রাজনৈতিক বক্তব্য ১০ তারিখের জন্য তোলা থাক।
কিন্তু তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে কতটা প্রস্তুত বিজেপি নেতা মুকুল?উত্তর দিতে গিয়ে মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি! এক সময়ের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করতে অসুবিধা হবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে মুকুল বলেছেন,পাণ্ডব-কৌরব ভাই-ভাই। তাও ধর্মযুদ্ধ হয়েছিল।
আগামী শুক্রবার ১০ নভেম্বর রানি রাসমণি রোডে বিজেপি সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ওই সমাবেশে মুকুল রায় তাঁর প্রাক্তন দলকে কীভাবে আক্রমণ করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।