সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেটও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এরই মধ্যে চলছে গঙ্গাসাগর। কিন্তু পুরভোট নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, এমনটাই এদিন জানান হল হাইকোর্টের তরফে। 


কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘পুরভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছনো যায় কি? রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? সেই ভোট কি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের’। 
 
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসক কুণাল সরকার জানিয়েছেন, "এমনিতেই গঙ্গাসাগর নিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে বসে আছি। আগুনের সামনে বসে। ৪৮ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায়।" তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে তা মানতে হবে। তবে সব জায়গায় তো ভোট হচ্ছে।"


সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোভিডের সংক্রমণ কমাতে, ২ মাস সব কিছু স্থগিত করা উচিত। তিনি বলেছিলেন, "প্রথমে বড়দিন পালন, তারপর নতুন বছর পালন। দুর্গাপুজো কোথাও কালীপুজো , কোথাও এই অনুষ্ঠান, কোথাও সেই অনুষ্ঠান... এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমি আপনাদের আবার বলছি, এগুলো বন্ধ রেখে আমাদের, এখন রাজ্য সমাজকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিজেদেরকে আত্মনিয়োজিত করতে হবে। মানুষের প্রাণ বাঁচলে আগামী দিনে সব আস্তে আস্তে হবে।"


বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ৯ জানুয়ারি থেকেশুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। এরই মধ্যে রাজ্য বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। এদিকে, ২২ জানুয়ারি, রাজ্যের ৪ পুরসভায় ভোট হবে, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এবার বাংলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফের পুরভোট পিছনো যায় কি না তা নিয়ে ফের ভেবে দেখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।