রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলল বিজেপি। মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ১৮ জন আত্মীয়ের।অথচ প্রকৃত প্রয়োজন যাঁদের, তাঁরাই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই দাবি করেই মুর্শিদাবাদে, শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হল বিজেপি। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত নওদা ব্লকের রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত। 


বিজেপির অভিযোগ, শুধু এই পঞ্চায়েত প্রধানই নয়, একাধিক জায়গায় এই ঘটনাই ঘটছে।  মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক গৌরাশঙ্কর ঘোষ  এই অভিযোগ করেছেন।যদিও, স্বজনপোষণের অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত প্রধান সাহারন বিবি। তিনি বলেছেন, তালিকায় যদি কেউ যোগ্য না হন, তাহলে বাদ যাবেন। 


মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খান বলেছেন, জেলা শাসক বা বিডিওদের বলেছি, তালিকা ক্ষতিয়ে দেখা হোক, প্রকৃত গরীব মানুষই যাতে ঘর পান তা নিশ্চিত করা হোক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা নওদা ব্লকের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


এদিকে, আবাস যোজনায় আবেদন জানিয়েও বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ।পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ২ নম্বর ব্লকের ৪৬টি পরিবার ভরা বর্ষায় পড়েছেন সমস্যায়। রাজনীতির কারণে বঞ্চনা বলে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিজেপি। যদিও শাসক দলের দাবি, বাসিন্দাদের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করা হলেও তারা অর্থ অন্য কাজে খরচ করেন।


কারও মাটির বাড়ি প্রায় ভেঙে গেছে।কেউ আবার বৃষ্টির থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রিপলের নিচে।অভিযোগ, কেন্দ্র বা রাজ্যের আবাস যোজনায় বহুবার আবেদন জানিয়েও, দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারগুলির জন্য বাড়ি তৈরি হয়নি। তার ফলে, দুর্ভোগের শেষ নেই কাঁথি ২ নম্বর ব্লকের হরিজন পল্লির বিপিএল-তালিকাভুক্ত পরিবারগুলোর। টানা বৃষ্টি হলে আইসিডিএস সেন্টারে ঠাঁই নিতে হয়, এই মানুষগুলোকে।সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি।তাদের দাবি, এই মানুষজনদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, রাজনীতির কারণে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে।  অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, ইতিমধ্যে ২২ টি পরিবারকে আবাস যোজনার টাকা বরাদ্দ করা হয়, কিন্তু তাঁরা বাড়ি তৈরি না করে বিভিন্ন খাতে খরচ করে ফেলেছেন। নতুন করে নোটিস করেছি যাতে বাড়ি তৈরি করে, নতুন তালিকায় কয়েকজনের নাম ঢোকানো হয়েছে।প্রশাসন সূত্রে খবর, অধিকাংশ পরিবারের জমির কাগজ ঠিকমতো নেই। তার ফলেও বাড়ি পেতে সমস্যা হচ্ছে।