পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূলে থাকবেন না কি অন্য দলে যাবেন? একুশের কুরুক্ষেত্রের আগে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বিজয়া সম্মিলনীতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক স্মৃতিচারণায় উঠে এল ‘আমার দল, আমার নেত্রী’-র কথা।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ২০০৮-৯ পুরসভা নির্বাচনের আগে আমার দল, আমাদের প্রার্থীদের মেরে হাত ভেঙে দিয়েছিল, অলি-গলিতে ঘুরেছি, আমার দল দায়িত্ব দিয়েছিল, ২০১১ সালে যখন আমাদের নেত্রী দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে নেমেছিলেন তখন এখানে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিলেন, আমি সেই সব রাজনৈতিক ইতিহাস ভুলিনি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত কয়েকদিনে নন্দীগ্রাম-সহ শুভেন্দু অধিকারী যেখানে যেখানে সভা করেছেন, সেখানে নিজের দল কিংবা তৃণমূল নেত্রীর প্রসঙ্গ শোনা যায়নি তাঁর মুখে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের বক্তব্য অনেকেরই নজর কেড়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, শুভেন্দুকে অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দলুইকে। এ নিয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর বিজেপি সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডু বলেন, বিধায়ক যাননি। অন্য গোষ্ঠী ছিল তাই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে, ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে।
ঘাটালের বিধায়কের প্রতিক্রিয়া না মিললেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব খারিজ করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। বলেন, যার যত ক্ষোভ আছে, মমতা ঠিক করবেন, মমতার ত্যাগের কথা মনে আছে। শুভেন্দুর ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তাঁকে আক্রমণ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত লোকসভা ভোটের নিরিখে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দলকে অটুট রাখাই তৃণমলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।