সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ। প্রতিবাদ করায়, বিজেপি নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মার। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার নদিয়ার শান্তিপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ১, বেলঘড়িয়া ২ ও টাউনশিপ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় দুর্নীতি হয়েছে। বিজেপি সমর্থকরা আবেদন জানালেও, তাঁদের নাম তালিকায় উঠছে না বলে দাবি। কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের নাম তালিকায় রয়েছে। 


গেরুয়া শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার, তাঁরা শান্তিপুরের BDO-র কাছে অভিযোগ জানাতে যান এই ইস্যুতে। তাঁদের অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পরই, বিজেপির নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আহতদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


শান্তিপুরের আক্রান্ত বিজেপি কর্মী চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, 'তৃণমূলের প্রায় ৫০ জন দুষ্কৃতি আমাদের আক্রমণ করে। আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম। তাই তাদের আটকাতে পারিনি। তৃণমূলের লোকেরা আমাদের রাস্তায় ফেলে রড দিয়ে ও বাঁশ দিয়ে রীতিমতো মারে। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।' ঘটনায় শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি তরফে।


বিজেপি কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে বুধবার জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির ছিলেন রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, 'শুধু দক্ষিণ নদিয়া জেলায় নয়। গোটা রাজ্যজুড়ে যেভাবে নোংরামো করছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাই আমরা অবরোধ করেছি এই ঘটনার প্রতিবাদে।'


যদিও অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলনেত্রী ও নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেন, 'বিজেপির প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এটা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আর যিনি মার খেয়েছেন, তিনি বারবার দল বাদলান। তাঁর প্রতি দলের ভেতরেই আক্রোশ রয়েছে।'